Friday, January 16, 2009

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্য নিরাপত্তার অবস্থা

আজকের প্রথম আলোতে "নতুন সরকার, জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তা" নামে একটি তথ্যবহুল প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রবন্ধটি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তার অবস্থা কিরূপ হতে পারে সে বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে। লেখক মাহবুবা নাসরীন বলেন:

শুধু কৃষি উন্নয়ন এককভাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না। অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সঙ্গেও জড়িত। বিশ্বের ধনী দেশগুলো তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে যেভাবে ভুমিকা রাখছে, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো, যারা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। আইপিসিসির তথ্য অনুযায়ী, এই শতকের শেষে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৮ থেকে ৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। রবি শস্যের সময়ে বা শীতকালে বর্ষা মৌসুমের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। একবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় শস্য উৎপাদন শতকরা ৩০ ভাগ পর্যন্ত কমতে পারে। তাই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিগুলোর দিকেই প্রধানত দৃষ্টি দিতে হবে। দেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেশব্যবস্থা, বনসম্পদ, মাটি, জলধারা, জীববৈচিত্র্য, ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল রক্ষা করা, ভুমিধস রোধ করা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মাটি উপযোগী, দুর্যোগের সঙ্গে খাপখাইয়ে নিতে পারে এ ধরনের খাদ্য উৎপাদনে অধিকতর মনোযোগী হওয়া, গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে সঠিক পন্থা বের করার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে এগোতে হবে।
যদিও সরকারকে পরামর্শ দেয়া প্রবন্ধটির উদ্দেশ্য। কিন্তু সাধারণ পাঠকের জন্য যে তথ্য এখানে উপস্থাপিত হয়েছে, তার গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। প্রবন্ধটির পাঠকপ্রিয়তা প্রত্যাশা করি।