দিনে দিনে যেভাবে পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে যাচ্ছে তাতে উদ্বিগ্ন না হয়ে উপায় নেই। পৃথিবীর আবহাওয়ামণ্ডলের এই সমস্যা কিন্তু প্রাকৃতিক কোন কারণে তৈরি হয় নি। এর প্রধান কারণ হল মানুষের অতিরিক্ত আরামপ্রিয়তা ও অসচেতনতা। মানুষ নিজেদের আরাম ও আয়েশের প্রয়োজনে, পৃথিবীর কথা না ভেবে দিনে দিনে বায়ুমণ্ডলে নানারকম ক্ষতি করে চলেছে। বায়ুমণ্ডলে কার্বনের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, ওজনস্তর ক্ষয়ে যাচ্ছে। ফলে তৈরি হচ্ছে একটা গ্রীন হাউজ ইফেক্ট(Green House Effect)। এর ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। একারণে মেরু অঞ্চলে বরফগুলো গলে যাওয়া শুরু হয়ে গেছে। প্রতিক্রিয়ায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাবে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে সমুদ্রতীরবর্তী দেশগুলোর উপর। অথচ আমরা একটু সচেতন হলেই এই সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়া যায়। আমরা যদি একটু কম আয়েশী হই। পৃথিবীর প্রতি আমাদের মমত্ববোধ আর একটু বাড়াই, তাহলেই সম্ভব পৃথিবীকে আর একটু শীতল রাখা। আমরা বিভিন্নভাবে এটা করতে পারি।
- সাধারণ বাল্বের পরিবর্তে এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করে।
- রুম থেকে বের হয়ে যাবার সময় বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলো বন্ধ করে (যেমন: বাল্ব বা ফ্যান)।
- বাথরুমে স্নানের সময় কমিয়ে অর্থাৎ কম জল খরচ করে।
- বৈদ্যুতিক তারগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করে। অর্থাৎ কোথাও যেন লিকেজ না থাকে, সেটা নিশ্চিত করে।
- বাড়ির আশেপাশে আরও বেশি পরিমাণে গাছ লাগিয়ে।
- যখন ব্যবহার হবে না, তখন বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলোর প্লাগ সকেট থেকে খুলে ফেলে।
- রিসাইকেলযোগ্য বাজারের ব্যাগ ব্যবহার করে।
- স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে।
আমি National Wildlife এর newsletter এর সদস্য। ওদের কাছ থেকে নিয়মিত বিভিন্ন রকমের খবর পাই। আজকেও পেলাম। তারা বলছিল আরও কিভাবে এই পৃথিবীর ভাল প্রতিবেশী হওয়া যায়। অন্ততঃ তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করলে পৃথিবীকে একটু শীতল রাখতে সহায়তা করা যায়। একটি লিংক দিয়েছে, যেখানে ভিজিট করলে সিলেক্ট করার মত বেশ কয়েকটা অপশন আসে। সেগুলোতে ক্লিক করে তাদেরকে সামান্য কিছু ডলার দিয়ে সহায়তা করা যেতে পারে। আমার দেয়ার মত ডলার নেই। কিন্তু পড়ে যা বুঝলাম তাতে সত্যিই এই পৃথিবীর আবহাওয়াকে শান্ত রাখতে আমাদের করার মত অনেক কিছুই রয়েছে। শুধু দরকার এই পৃথিবীমাতার প্রতি আর একটু বেশি ভালবাসা।
ছবি নেয়া হয়েছে National Wildlife এর ই মেইল থেকে।
No comments:
Post a Comment