Wednesday, February 13, 2008

বার্ড ফ্লু (Bird Flu) ১

সাম্প্রতিক কালের ভয়াবহ রোগ বার্ড ফ্লু সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পেয়ে গেছি ঠিক কোন কোন জায়গা থেকে পেয়েছি তা এই মুহূর্তে মনে করতে পারছিনা। সেগুলো সংগ্রহ করে এখানে পোস্ট করে দিলামএই রোগটা এতটাই ভয়ংকর যে আমাদের সচেতন ও সতর্ক না হয়ে কোন উপায় নেই

বার্ড ফ্লু কি?

  • বার্ড ফ্লু ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত রোগ৷
  • এই ভাইরাস সাধারণতঃ পাখির শরীরে বাস করে৷
  • বার্ড ফ্লু অতিথি পাখি থেকে গৃহপালিত পাখিতে এবং পরে আক্রান্ত পাখি থেকে অন্য পাখি এবং মানুষ ও অন্য প্রাণীতে ছড়ায়৷
  • এই ভাইরাস মানব দেহে প্রবেশ করে রোগ এবং মৃতু্য ঘটাতে পারে৷
  • এই ভাইরাস মানব দেহে প্রবেশের পর স্বয়ংক্রিয় ভাবে পরিবর্তীত হয়ে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রামিত হওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে৷
  • এরকম পরিস্থিতি মহামারীর জন্ম দেয়৷


বার্ড ফ্লু মহামারীঃ

  • বার্ড ফ্লু এখন একের পর এক বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে৷
  • অতিথি পাখির এবং আমদানি/রপ্তানীকৃত পাখি বা হাঁস মুরগীর মাধ্যমে রোগটি বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে৷


বাংলাদেশে বার্ড ফ্লুঃ

  • বাংলাদেশে কমপক্ষে ৩০ লক্ষ নারী সরাসরি হাঁস মুরগী পালনের সাথে জড়িত
  • বার্ড ফ্লুর বিস্তার শুধু মানব স্বাস্থ্যের জন্যই হুমকি নয় বরং তা উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে মারাত্নক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে
  • সরকার ইতোমধ্যেই বার্ড ফ্লু সংক্রামিত দেশ থেকে হাঁস-মুরগী আমদানী নিষিদ্ধ করেছে
  • বাংলাদেশের জন্য বার্ড ফ্লু হুমকির আরেক মাধ্যম অতিথি পাখি৷ প্রতি বছর শীত কালে এদেশে নানা ধরনের পাখি আসে যারা বার্ড ফ্লু ভাইরাস বয়ে আনতে পারে


বার্ড ফ্লু প্রতিরোধে করণীয়ঃ

  • - অতিথি পাখি শিকার, বিক্রি করা ও খাওয়া বন্ধ করুন৷
  • - রোগাক্রান্ত অথবা মৃত-পাখি, হাঁস-মুরগী স্পর্শ করবেন না৷
  • - আক্রান্ত অথবা মৃত পাখি পুড়িয়ে অথবা পুঁতে ফেলুন৷
  • - আক্রান্ত অথবা মৃত পাখী দেখলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ যেমন পশুসম্পদ অফিস বা কৃষি অফিসারকে জানিয়ে দিন৷
  • - গৃহপালিত হাঁস-মুরগীকে বন্য পাখির সংস্পর্শে আসতে দিবেন না৷
  • - নতুন হাঁস-মুরগীকে বাড়ির হাঁস-মুরগী থেকে অন্তত দুই সপ্তাহ আলাদা করে রাখুন৷
  • যে সকল জলাশয়ে অতিথি পাখির আগমন ঘটে সেসব জলাশয়ে বা আশেপাশে গৃহপালিত হাঁস ও মুরগী চলাচল এবং চরানো বন্ধ করুন৷
  • পাখির সংস্পর্শে এলে অথবা পাখির বিচরণভূমি থেকে ফিরে সবসময় সাবান এবং পানি দিয়ে ভাল করে কচলে দুই হাত ধুয়ে ফেলুন৷
  • রান্নার জন্য অথবা যেকোন কারণে পাখির কাঁচা মাংস স্পর্শ করলে সাবান এবং পানি দিয়ে ভাল করে কচলে হাত ধুয়ে ফেলুন৷
  • যে বাজারে হাঁস-মুরগী বিক্রি হয়, সেখানে বার্ড ফ্লু দেখা দিয়েছে বলে শোনা গেলে সে বাজারে যাওয়া এড়িয়ে চলুন৷
  • মুরগীর মাংস এবং ডিম ভালভাবে রান্না করুন৷ মাংসে কোন গোলাপী আভা বা ডিমের কুসুম যেন গলা না থাকে৷
  • বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব সন্দেহ করা হলে যেসব জায়গায় মুরগীর দ্বারা দূষিত হয়েছে তা পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত না করা পর্যন্ত এসব জায়গা স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন৷ এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইবার তাড়াতাড়ি চুন দিয়ে জীবণুমুক্ত করুন৷
  • স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শ সাপেক্ষে হাঁস-মুরগীকে টিকা দিয়ে নিন৷
  • কোথাও অধিক হারে গৃহপালিত হাঁস মুরগী ও অতিথি পাখি অসুস্থ হলে বা মারা গেলে নিকটস্থ পশুসম্পদ অফিসে খবর দিন৷
  • কোন ব্যক্তির যদি অতিথি পাখি বা হাঁস-মুরগীর সংস্পর্শে আসার পরে সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিতে বলুন৷
  • বার্ড ফ্লু সম্পর্কে সর্তক থাকুন, অন্যদের জানান, দ্রুত মোকাবিলা করুন৷

No comments:

Post a Comment