কুড়িগ্রাম শহরের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের ঠিক দক্ষিণের বিরাট ইউক্যলিপটাস গাছে চিলদের রাত্রিযাপন যে হয় তা খেয়াল করিনি। আজ বিকেলে সন্ধ্যার আগে আগে নিচ দিয়ে আসতে আসতে হঠাৎ উপরে তাকিয়ে দেখি বেশ কিছু চিল সেখানে বসে আছে। কুড়িগ্রামে এই মৌসুমে অনেক চিল যে এসেছে তা জানতাম। কিন্তু কোথায় থাকে তা জানতাম না। গতকাল আর একজনের কাছে শুনলাম শিশুনিকেতনের পাশে একটি গাছে চিলের বাসা আছে। ওরা মাঝেমাঝে ঢিল ছুড়ে চিল পরিবারকে বিরক্ত করে। বাড়ির হাস-মুরগীর ছানা নিয়ে যায় আবার হঠাৎ করে ছোঁ দিয়ে মাছ নিয়ে যায়। আমি তাকে চিলের খাদ্যাভাবের কথা বোঝালাম। চিলের আবাসসঙ্কট যে প্রকট সেটা জানালাম। সে বুঝল। তাকে আরও বললাম কুড়িগ্রাম শহরকে যদি চিলের জন্য অভয়ারণ্য ধরণের কিছু তৈরি করা যেত তাহলে তা আমাদের জন্য গর্বের হত।
ইউক্যালিপটাস গাছে চিলের কোন বাসা নেই। তারা সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘরে বেড়িয়ে রাত্রে এখানে এসে থাকে। আমার ক্যামেরা ততোটা ভাল নয়। তাই ভাল ছবি উঠল না।
No comments:
Post a Comment