আজ জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটা খবর পড়লাম। হাওড়কে বাঁচাবার জন্য জাতীয় সম্মেলন হচ্ছে। এটা 'প্রথম জাতীয় হাওড় সম্মেলন'। হাওড়ের প্রকৃতি, পরিবেশ ও হাওড়বাসীর জীবনজীবিকা রক্ষায় জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে দু'দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হয়। উদ্বোধন করেন সাবেক বিচারপতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান। খবরটি স্বস্তির। কারণ বিষয়টির সঙ্গে ২ কোটি লোকের জীবিকা জড়িত। হাওড়ের সঙ্গে আমাদের সমাজ, লোকজ জীবন, সংস্কৃতির ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
রবীন্দ্রসঙ্গীতপ্রেমিক ও বিশেষজ্ঞ বিচারপতি হাবিবুর রহমান কথাগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন, হাওড় অঞ্চলের প্রধান সমস্যা হচ্ছে সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রচলিত নীতিমালা। এ অঞ্চলের মৎস্যসম্পদের ওপর দরিদ্র মৎস্যজীবীদের কোন অধিকার নেই। হাওড় অঞ্চলের ইজারা প্রথা দরিদ্র মৎস্যজীবীদের অধিকার তেকে বঞ্চিত করেছে। তারা একদিকে পুরনো আইনের কাছে যেমন বন্দী অন্যদিকে সমাজের প্রভাবশালীদের হাতেও জিম্মি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, জীববৈচিত্রসহ হাওড়ে রয়েছে বিশাল সম্পদের ভাণ্ডার। সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন হলে হাওড় থেকে বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার মৎস্য আহরণ সম্ভব। তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলন হাওড়ের জীবনজীবিকা, প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষা ও হাওড়ের সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আইনের অসঙ্গতি চিহ্নিত করে তা নিরসনের জন্য পথনির্দেশিকা হিসেবে কাজ করতে পারে।
আব্দুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, হাওড়কে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে জাতীয় সম্পদের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
সম্মেলনের প্রতম দিনে মোট চারটি অধিবেশন হয়। হাওড়ের নীতি পর্যালোচনা, হাওড়ের বন্যা ব্যবস্থাপনা, হাওড়ের জীবনজীবিকা, হাওড়ের কৃষি, হাওড়ের শিক্ষার গুণগতমান ও হাওড়ের নারীর অবস্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এই খবরটি আমার কাছে বেশ আশাপ্রদ মনে হল। হাওড়কে নিয়ে যে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে এটা খুবই আনন্দের। বাংলাদেশের হাওড় অঞ্চল বিভিন্ন সম্পদে সমৃদ্ধ। অর্থনৈতিক উর্বরতা ছাড়াও পরিযায়ী পাখিদের অন্যতম বিশ্রামস্থল হল এই হাওড়গুলো। সিলেটের হাকালুকি হাওড় এর মধ্যে অন্যতম।
No comments:
Post a Comment