প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী একটা শালিক দেখা দুর্ভাগ্য ও দুইটা শালিক দেখা সৌভাগ্যের চিহ্ন। গায়ের রং গাঢ় সোনালী। মাথা ও লেজের দিকে কালোর স্পর্শ আছে। পা হলুদ। ঠোঁট ও চোখ হলুদ রঙের রেখায় আবৃত।
শালিক খুব সাহসী পাখি। তার কাজে কেউ বাধা দিলে সঙ্গে সঙ্গে সে রুখে দাঁড়াবে। সাপ, বেজি, বাঘ বা বাজ/ চিলজাতীয় পাখি দেখলে চিৎকার চেঁচামেচি করে পাড়া মাত করবে।
এরা জোড়ায় জোড়ায় জীবন যাপন করে। আবার ৫/৭ টির ছোট দলে ভাগ হয়েও চলাফেরা করে।
লম্বায় প্রায় ৯ ইঞ্চি। মাথা, গলা ও বুকের উপরের রঙ চকচকে কালো। বাকি পালক গাঢ় সোনালী।
বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান সবখানেই শালিক দেখা যায়। এক সময় দক্ষিণ আফ্রিকা, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি দেশে ভারত থেকে শালিক চালান দেয়া হয়েছিল ক্ষেতের পোকামাকড় ধ্বংস করার জন্য।
এপ্রিল থেকে আগস্ট মাস এদের প্রজননকাল। শুকনো ঘাস, খড়, কাগজ, কাঠি, কাপড়, পালক সবকিছু দিয়ে বাসা তৈরি করে। ডিম দেয় ৪-৫টি। পুরুষ নারী দুজনে মিলে বাসা বাধে, সন্তান পালন করে, নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে আমার মিল হয়ে যায়।
শালিক খুব উপকারী পাখি। পোকামাকড় তো খায় তা ছাড়া সাপখোপ দেখলে চিৎকার করে উঠে বাড়ির সকলকে সতর্ক করে দেয়।
No comments:
Post a Comment