Friday, March 14, 2008

সুন্দরবন ২

সুন্দরবন বাংলাদেশ ও ভারতের রাষ্ট্রসীমানায় অবস্থিত। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন। জাতিসংঘ থেকে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

সুন্দরবন বাংলাদেশের মধ্যে বন্যপ্রাণীর সবচেয়ে বড় আবাসভূমি। ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী এর সম্পদ। এদের মধ্যে
  • স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে ২৭.৬০%
  • সরিসৃপ রয়েছে ২৪.৪৭%
  • উভচর রয়েছে ৩৬.৩৫%
  • পাখি রয়েছে ৩৪.৫৭%
রয়েল বেঙ্গল টাইগার সুন্দরবনের প্রধানতম অধিবাসী। বিশ্বে একমাত্র সুন্দরবনেই এই বাঘ পাওয়া যায়। এর সৌন্দর্য ও বন্যতার খ্যাতি বিশ্বজোড়া। বাঘ ছাড়া সুন্দরবনের উল্লেখযোগ্য প্রাণী হল চিত্রলহরিণ, মায়াহরিণ, বন্যশুকর,বানর, শেয়াল,বাঘডাস, হনুমান, উদবিড়াল, কাঠবিড়াল, সজারু, বনমোরগসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।


এই বনে ৩০০টির বেশি প্রজাতির পাখি আছে। এর মধ্যে কিছু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সুন্দরবনের পাখিগুলোর মধ্যে সাদাচিল, সাদা ঈগল, শকুন, কানিবক, চিতাবক, রাগঘাবক, কজ, লালচিল, মাছরাঙ্গা, মদনটাক, ঘুঘু, গাংচিল, শংখচিল, কাঠঠোকরা,কাদাখোচা, শংখচিল, ডুঙ্গো, কাকাতুয়া, হলদে পাখি, পানকৌড়ি, হড়িকেল, বনমোরগ, সারস, জলকবুতর, মুনিয়া, দোয়েল, বুলবুল, ফিঙে বেশি দেখা যায়।

সুন্দরবনের বর্ণিল পাখি

নিজস্ব প্রজাতির পাশাপাশি ঋতুভেদে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি সুন্দরবনের আকাশ কলকাকলিতে মুখরিত করে রাখে। প্রায় ৫০টিরও বেশি প্রজাতির পাখির নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে সুন্দরবনে।

২০০৭ সালের প্রথম দিকের একটি বাঘশুমারি মতে সুন্দরবনে বাঘ রয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০টি। IRMP (Integrated Resource Management Project) এর ১৯৯৬-৯৭ সালে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে সুন্দরবনে

  • হরিণ রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার,
  • বানর রয়েছে ৫০ হাজার,
  • কুমির রয়েছে ২০০টি,
  • বন্যশুকর রয়েছে ২৫ হাজার।

সুন্দরবনে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির কাঁকড়া, বিছা, শামুক, ঝিনুক। এছাড়াও সামুদ্রিক কাছিম ও হাঙ্গর মাঝে মাঝে দেখা যায়। উভচর প্রাণীর মধ্যে ব্যাঙ (সবুজব্যাঙ, গেছোব্যাঙ, কুনো ব্যাঙ ) রয়েছে সবচেয়ে বেশি।

সুন্দরবনের কুমির।

সুন্দরবনে বিভিন্ন প্রজাতির সরীসৃপ রয়েছে । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কুমীর চন্দ্রবোড়া, গোখরা, অজগর, রাজগোখরা, দারাস সাপ, গুইসাপ, গিরগিটি, টিকটিকি সহ সামুদ্রিক সাপ।

প্রজাপতি, মাকড়সা, গুবরে পোকা, মৌমাছি সহ বিভিন্ন প্রজাতির কীটপতঙ্গ রয়েছে সুন্দরবনে। এদের মধ্যে মৌমাছির তৈরি মোম ও মধু থেকে প্রত্যেক বছর প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব সরকার আদায় করে থাকে।

ছবিগুলো নেয়া হয়েছে Wikipedia, বাংলা উইকিপিডিয়া থেকে

No comments:

Post a Comment