Friday, May 30, 2008

বলধা বাগানের সংগ্রহের সংক্ষিপ্ত তালিকা

আজকের প্রথম আলো পত্রিকায় বলধা গার্ডেনের সংগ্রহের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এখানে তা পুন:প্রকাশ করলাম।

বাগানের যত সংগ্রহ
সাইকি ও সিবিলি মিলিয়ে বাগানে ৮৭ পরিবারের ৭২০ প্রজাতির ১৭ হাজার উদ্ভিদ রয়েছে। সাইকির প্রবেশপথের দুই পাশে প্রথমেই শাপলা ও পদ্মপুকুর। সেখানে ১২ প্রজাতির জলজউদ্ভিদ রয়েছে। দুর্লভ শাপলার মধ্যে হলুদ শাপলা ও থাই বেগুনি শাপলা উল্লেখযোগ্য। আরেকটু সামনেই ডান দিকে রোজক্যাকটাস, প্যাপিরাস, কনকসুধা। বাঁ দিকের ঘরে আছে ঘৃতকুমারী। তারপর ওষুধি গাছগাছড়া, আমাজন পদ্ম, পদ্ম, অর্কিড ঘর, হংসলতা, পাশেই জমিদারের বাড়ি ও জাদুঘর। অফিসঘরের দক্ষিণ পাশেই জ্যাকুইনিয়া, শারদমল্লিকা, কণ্টকলতা, গুস্তাভা, হিং, শ্বেতচন্দন, সাইকাস, স্বর্ণ অশোক, কুর্চি, ভুর্জপত্র। ডান দিকে ক্যাকটাসের দুর্লভ সংগ্রহ নিয়ে একটি ঘর। এখানে ক্যাকটাস ঘরের সংখ্যা তিনটি, পটিংঘর একটি, ছায়াঘর দুটি, অর্কিডঘর একটি। মাঝখানে চারদিকে তাকসমেত পিরামিড আকৃতির একটা ঘর। তাকগুলোতে থরে থরে সাজানো ক্যাকটাস। দক্ষিণ প্রান্তে ছায়াঘর, সেখানে রয়েছে নানা জাতের ফার্ন। স্বর্ণ অশোকের পাশেই সাদা ও গোলাপি ক্যামেলিয়া, তারপর রাজ অশোক। বাঁ দিকে উলটচন্ডালের হলুদ জাত, দক্ষিণ দিকের দেয়ালের পাশে ছোট জাতের কয়েকটি পাম। ছোট-বড় মিলিয়ে সাইকিতে ১৬ প্রজাতির পাম রয়েছে। শরতের মাঝামাঝি থেকে একটি পরিচয়হীন লতানো গাছে হলুদ রঙের ফুল ফোটে, থাকে অনেক দিন। সাইকির বিরলতম সংগ্রহের মধ্যে আরও আছে লতাবট, লতাচালতা, ক্যানেঙ্গা, ঈশ্বের মূল, নবমল্লিকা, ওলিওপ্রেগরেন্স, জিঙ্গো বাইলোবা, অ্যারোপয়জন, র‌্যাভেনিয়া, আফ্রিকান বকুল, নাগলিঙ্গম, উদয়পদ্ম, রাজ অশোক ইত্যাদি।
উদয়পদ্মে সুসজ্জিত সিবিলির প্রবেশপথ। এ বাগানেই আছে মনোলোভা সব ক্যামেলিয়ার ঘর। বাঁ পাশে পুকুরের কোনায় আছে সুউচ্চ মুচকুন্দ আর ডান পাশে পোর্টল্যান্ডিয়া। আরেকটু এগোলে চোখে পড়বে কলকে, অ্যারোপয়জন, কপসিয়া, হলদু, দেবকাঞ্চন, কনকসুধা, কনকচাঁপা, লতা জবা, স্কারলেট কর্ডিয়া, কাউফল। শঙ্খনিধি পুকুরে নানা জাতের জলজ ফুল। পথের শেষপ্রান্তে আছে কয়েকটি দুর্লভ রাজ অশোক, বাঁ দিকে ঘুরলে রুদ্রপলাশ, অপরিচিত পাম, গড়শিঙ্গা, ক্যামেলিয়ার ঘর, দেয়াল লাগোয়া পশ্চিম পাশে একসারি ক্যানেঙ্গা ও ইয়ਆা, দুই জাতের কেয়া ইত্যাদি। এ বাগানের দুটি ঘরের একটিতে অর্কিড, অন্যটি চারাগাছের ভান্ডার। শঙ্খনিধি পুকুরের পশ্চিম পাড়ের দোতলা ঘরটি এখন পরিত্যক্ত। এখানে আরও আছে মাধবী, অশোক, পিয়াল, পান্থপাদপ, শতায়ু উদ্ভিদ, পাখিফুল, কৃষ্ণবট ইত্যাদি। এ বাগানের গোলাপ একসময় উপমহাদেশে প্রসিদ্ধ ছিল।

No comments:

Post a Comment